গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে অপহরণ হওয়ার ৩ দিন পর সাব্বির (১৬) নামের ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও বিশুবাড়ি দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় সাব্বিরের বাবা বাদী হয়ে গত রোববার গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির আহম্মেদকে গত শনিবার বিকেলে তার দুই বন্ধু মিলে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও সাব্বির বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এর পর থেকে তাকে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু বান্ধবের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের রংপুর সুগার মিলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু ফার্মের একটি পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে পচা দূর্গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি গোবিন্দগঞ্জ থানায় জানানো হলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে অর্ধগলিত লাশটি বের করে আনে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাব্বিরের পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে লাশটি সাব্বিরের বলে সনাক্ত করে।
এ ঘটনায় সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে গত রোববার ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৮) ও একই ইউনিয়নের বিশুবাড়ি গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে আব্দুল আলিমকে (১৮) গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে তরফকামাল (শিয়ালগারা) গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে মোঃ ইউনুস আলীকে (৩৫) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার নামীয় এবং সন্দেহভাজন অন্যান্য আসামীদেরকেও গ্রেপ্তারের জোর পুলিশি তৎপরতা অব্যহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।